বাংলাদেশের পাসপোর্টে পুনরায় ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল বাদে) শব্দ দুটি পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছে ইন্তিফাদা ফাউন্ডেশন। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্ক কোন পর্যায়ে আছে সেটি প্রকাশিত করার দাবিও জানিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘বাংলাদেশে জায়নবাদী আগ্রাসন : আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এ দাবি তুলেন।
বাংলাদেশে জায়নবাদী আগ্রাসনের প্রভাবেই হাসিনা সরকার পাসপোর্ট থেকে ‘একসেপ্ট ইসরাইল’ (ইসরাইল বাদে) শব্দ দুটি বাদ দিয়েছিল মন্তব্য করে বক্তারা বলেন, গাজায় ইসরাইলের আগ্রাসন দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। ইতিহাসে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের এক মারাত্মক অধ্যায়। এই সংঘাতের মূল কারণ ফিলিস্তিনিদের ভূমি অধিকার, ইসরাইলের সামরিক উপস্থিতি এবং উভয়পক্ষের মধ্যে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের সামরিক অভিযান, বিমান হামলা এবং স্থল হামলা বহুবার সংঘটিত হয়েছে, যা ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ভয়াবহ মানবিক সংকট সৃষ্টি করেছে। অথচ গাজা উপত্যকা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের একটি অংশ। যা ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ২০০৫ সালে ইসরাইল গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করলেও গাজা কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।
এ সময় বক্তারা বলনে, দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের আগ্রাসন চলমান থাকায় গাজায় মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে। ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসনের ফলে গাজার জনগণ ভয়াবহ মানবিক সংকটে পড়েছে। বহু মানুষ মারা গেছে, যার মধ্যে অসংখ্য নারী ও শিশু রয়েছে। বাড়িঘর ধ্বংস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল ধ্বংস এবং জল-বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাবে ফিলিস্তিনিরা চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। ইসরাইল কর্তৃক গাজায় হামলা বিশ্বব্যাপী নিন্দনীয় হলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ কিছু পশ্চিমা দেশ ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। স্থায়ী শান্তি এবং মানবিক সংকটের নিরসনের জন্য উভয়পক্ষের মধ্যে সুসংগঠিত আলোচনা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন খেলাফতে মজলিসের মহাসচিব প্রফেসর ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) সদস্যসচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহার প্রমুখ।