বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার প্রশাসনের ব্যক্তিবর্গকে বহাল রেখে বা পালিয়ে যেতে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বলে দাবি করেছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিপ্লবী সরকার হিসেবে বর্তমান সরকারের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব ছিল গণহত্যায় জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনে আওয়ামী সহযোগীদের বহাল রাখা বা তাদের নিরাপদে দেশত্যাগ করতে দেওয়া সরকারের ব্যর্থতার পরিচায়ক।
তিনি বলেন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন এবং পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুলের নিরাপদে দেশত্যাগ বর্তমান সরকারের প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এখনও আওয়ামী প্রেতাত্মাদের উপস্থিতির প্রমাণ। তারা বিপ্লবের চেতনা এবং বিপ্লবকে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আওয়ামী প্রেতাত্মাদের প্রশাসনে বহাল রাখা জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। প্রকৃতপক্ষে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দেশের বৃহত্তর স্বার্থ ভুলে গিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে, যা বিপ্লবের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই সমন্বয়ক বলেন, আমরা প্রশাসনের সব স্তরের কর্মকর্তাদের আহ্বান জানাই, আপনারা বিপ্লবের চেতনা ধারণ করুন এবং দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সেবা প্রদান করুন। ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থের জন্য দেশের ভবিষ্যৎকে বিপদে ফেলবেন না।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিপ্লবী সরকারের প্রতিও আমাদের আহ্বান, বিগত ১৫ বছরে এবং জুলাই বিপ্লবে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডে যারা সহযোগী ছিল, তাদের যেন বিচারের আওতায় আনা হয়। যারা দেশ থেকে পালিয়ে গেছে, তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আবু সাঈদ, ওয়াসিম এবং মুগ্ধের আত্মা তখনই শান্তি পাবে, যখন অপরাধীরা পূর্ণমাত্রায় শাস্তি পাবে এবং সরকার বিপ্লবের চেতনা নিয়ে কাজ করবে।