ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশটিতে ‘মারাত্মক’ ও ‘অপ্রত্যাশিত’ প্রতিশোধের হুঁশিয়ারি দিয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়ভ গ্যালান্ট ইসরাইলের সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে এক বার্তায় তিনি বলেন, ‘যারা আমাদের আঘাত করবে, তারা তার মূল্য চুকাবে। আমাদের আক্রমণ হবে মারাত্মক, নির্ভুল এবং সবচেয়ে বড় বিষয় যেটা হবে, সেটা হলো- অপ্রত্যাশিত। তারা বুঝতেই পারবে না কী ঘটেছে এবং কিভাবে এটি ঘটেছে’।
গত ১ অক্টোবর ইরান ইসরাইলের ভূখণ্ডে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী যার বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় প্রতিহত করে বলে দাবি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে এখন ইরানে পালটা হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইল।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন যে, তিনি তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার ব্যাপারে সমর্থন দেবেন না।
এদিকে গাজার উত্তরে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। ইসরাইলি বাহিনীর আক্রমণে সেখানে হাজার হাজার মানুষ আটকা পড়ে আছে। এ বিষয়ে মোহাম্মদ আওদা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘এটি নরকের মতো। আমরা বাইরে যেতে পারছি না’।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জাবালিয়া থেকে গত কয়েক দিনে ৪০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং কেন্দ্রীয় গাজায় আক্রমণে আরও কয়েকজন নিহত হয়েছে।
ইসরাইলের আক্রমণে গাজায় এখন পর্যন্ত ৪২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
ইসরাইল বলেছে, তারা শুধু সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে অভিযান চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে বেসামরিক হতাহতের দায় হামাসের ওপর চাপিয়েছে।
এদিকে গাজার বেশিরভাগ হাসপাতাল এখন বন্ধ হয়ে গেছে এবং অবশিষ্ট হাসপাতালগুলোও পূর্ণ কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। সূত্র: আরব নিউজ