মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার ফলে গত চার দিন ধরে দেশের সব বিভাগেই মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধি ও গারো পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে ময়মনসিংহ, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে, জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আর আবহাওয়ায় অধিদপ্তর বলছে, আরও দুই দিন বৃষ্টিপাত চলবে। আগামী রোববার থেকে বৃষ্টির প্রবণতা একটু কমতে পারে।
আজ শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনাতে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ সময় ঢাকায় ১২ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের ভুগাই–কংস, সোমেশ্বরী ও জিঞ্জিরাম নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ভুগাই নদী শেরপুর জেলার নাকুয়াগাঁও পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভুগাই-কংস, সোমেশ্বরী ও জিঞ্জিরাম নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং শেরপুরের ভুগাই নদীর ভাটিতে নেত্রকোনার কংস নদ এবং জামালপুরের জিঞ্জিরাম নদী বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এর ফলে ভুগাই ও কংস নদসংলগ্ন শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা এবং জিঞ্জিরাম নদীসংলগ্ন জামালপুর জেলার কতিপয় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে বন্যার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের প্রধান নদীগুলো সারিগোয়াইন, যাদুকাটা ও মনু নদের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপর দিকে খোয়াই ও ধলাই নদের পানি স্থিতিশীল আছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পরবর্তী দুই দিনে নদীগুলোর পানি হ্রাস পেতে পারে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী তিন দিন পর্যন্ত বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় নদীগুলো স্বাভাবিকের থেকে কিছুটা অধিক উচ্চতার জোয়ার পরিলক্ষিত হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয়তার কারণে বৃষ্টি হচ্ছে। জামালপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত বেশি হচ্ছে। রোববার থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে যাবে। অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেবে। তাই আগামী কয়েক দিন কমবেশি বৃষ্টি থাকবে। ।