চীনের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা রয়েছে, চাইলে সুযোগ নিতে পারে বাংলাদেশ

বাংলাদেশী পণ্য চীনের বাজারে শুল্কমুক্ত রপ্তানির জন্য দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আজ (২ অক্টোবর) দুপুরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর এই মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় চীনা রাষ্ট্রদূত সামুদ্রিক মাছের সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ ও রপ্তানিতে চীনের আগ্রহের কথা গণমাধ্যমকর্মীদের জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে চীনের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা সামুদ্রিক মাছ প্রক্রিয়াকরণ কারখানা স্থাপন করতে চান, যাতে চীনে মাছ রপ্তানি করা সম্ভব হয়।
আলোচনায় রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ থেকে সামুদ্রিক মাছ, চিংড়ি, কাঁকড়া, কুচিয়া, পাট ও পাটজাত পণ্য এবং আম রপ্তানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, এসব পণ্যের চীনের বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে, তাই বাংলাদেশ এই চাহিদার সুযোগ নিতে পারে।
এসময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে সহযোগিতার বিষয়ে একমত পোষণ করেন তারা।
সাক্ষাতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন, দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সিলর সং ইয়ান, ফার্স্ট সেক্রেটারি সি চেন এবং থার্ড সেক্রেটারি বাই জাহোজি উপস্থিত ছিলেন।