দেশজুড়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে ডেঙ্গু। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর তালিকাও। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে চলতি বছর ১৬৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ডেঙ্গু। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০ হাজার ৯৩৮ জন। শুধু সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। ভাইরাসবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে একই সময়ে হাসপাতালে রেকর্ড ১ হাজার ১৫২ জন ভর্তি হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পবিত্র কোরআনে কষ্ট থেকে নাজাত পাওয়ার আমল লুকায়িত আছে। বিষাক্ত ও কষ্টদায়ক প্রাণীর অনিষ্ট ও ভাইরাসবাহিত রোগবালাই থেকে নিজেকে ও পরিবারকে নিরাপদ রাখতে দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও। ডেঙ্গু বা ভাইরাসবাহিত যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলে আমাদের উচিত, এ দোয়াগুলোর আমল করা এবং সঠিক চিকিৎসা নেয়া।
১। রব্বি আন্নি মাছছা নিয়াদ দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রহিমীন। (সুরা আম্বিয়া: ৮৩)
অর্থ: হে রব, আমি দুঃখ-কষ্টে পড়েছি, আর তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু।
ধৈর্যের মূর্ত প্রতীক ছিলেন হজরত আইয়ুব (আ.)। বছরের পর বছর শারীরিক ও আর্থিক কষ্টে ভুগেও মহান আল্লাহর প্রতি পরিপূর্ণ কৃতজ্ঞ ছিলেন তিনি। পবিত্র কোরআনে ৪টি সুরার ৮টি আয়াতে আইয়ুব (আ.)-এর কথা এসেছে।
হজরত আইয়ুব (আ.) দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েও মহান রবের উপর আস্থাশীল থেকে ধৈর্য ধরে যান এবং অবশেষে আল্লাহর কাছে দোয়া করে রোগ থেকে মুক্তি পান। এই অসুস্থতার দিনগুলোতে তার সন্তান-সন্ততি, বন্ধু-বান্ধব সবাই তাকে ছেড়ে গিয়েছিল। এরপর মহান আল্লাহ তাঁকে সুস্থতা দান করেন।
২। আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।
অর্থ: আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমার মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান, বিষাক্ত প্রাণী এবং প্রত্যেক কুদৃষ্টির অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাইছি।
বিখ্যাত সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে মহান আল্লাহর প্রিয় হাবিব সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল ও সন্ধ্যা এই দোয়া ৩ বার পড়বে, মহান আল্লাহ তাকে বিষাক্ত ও কষ্টদায়ক প্রাণীর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন। (তিরমিজি: ৩৬০৪)।