গাজা যুদ্ধ শুরুর পর গত এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের আন্তসীমান্ত সংঘাত চলছিল। গত মাসের মাঝামাঝি দেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। পরে লেবাননে স্থল হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এই হামলা আরও বিস্তৃত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইডিএফ। খবর এএফপির
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলেও স্থল হামলা শুরু করেছেন তাদের সেনারা। বিগত কয়েক দিনে দেশটিতে নতুন করে সেনা পাঠানোর পর স্থল হামলার পরিসর বাড়ানোর এ ঘোষণা দিল ইসরায়েল।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ। হিজবুল্লাহ প্রধান নিহত হওয়ার তিন দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ইসরায়েলি সেনারা স্থল হামলা শুরু করেন। বিমান হামলার পাশাপাশি এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে লেবাননের দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সম্মুখ লড়াই চলছিল।
গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলেও স্থল ‘অভিযান’ শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ১৪৬তম ডিভিশন। তবে বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় হিজবুল্লাহর অবস্থান ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।
তবে লেবাননে এখন পর্যন্ত কতজন সেনা পাঠানো হয়েছে, সেই হিসাব জানায়নি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, গত ৯ দিনে লেবাননে ১৫ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ১৪৬তম ডিভিশন একটি রিজার্ভ ডিভিশন। এর আগে অবরুদ্ধ গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ‘অভিযানে’ এই ডিভিশনের সেনাদের মোতায়েন করেছিল ইসরায়েল।
দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার মুখে গতকাল হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন রয়েছে হিজবুল্লাহর। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাইম কাসেম বলেন, ‘লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি যুদ্ধবিরতির জন্য যে রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাতে আমাদের (হিজবুল্লাহর) সমর্থন রয়েছে।’