অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
মঙ্গলবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিকের করা প্রশ্নের জবাবে ইউনূস সরকারের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান তিনি। এ ছাড়া ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার বিষয়েও জবাব দিয়েছেন মিলার।
ব্রিফিংয়ে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী প্রশ্ন করেন, গণহত্যা ও নৃশংসতা ঘটিয়ে স্বৈরশাসক হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের সাইডলাইনে ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেছেন। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র, নিরাপত্তা ও রোহিঙ্গা শরণার্থীর মতো চ্যালেঞ্জগুলোকে সামনে রেখে বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কীভাবে এগিয়ে নিতে চাচ্ছে, সে বিষয়ে আপনার পর্যবেক্ষণ জানাবেন কী?
জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা এসব ইস্যুতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেনের একটি ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে। এসব ইস্যুতে যেন অগ্রগতি হয়, সে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
পরে এই সাংবাদিক ভারতে বসে শেখ হাসিনার বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার প্রসঙ্গে জানতে চান। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে এই ভবনে এসেছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর। বাংলাদেশের সাবেক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা এখন ভারতে এবং সেখানে থেকেই বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে– ব্লিংকেনের সঙ্গে জয়শঙ্করের বৈঠকে বাংলাদেশের প্রসঙ্গ নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা?
জবাবে মিলার বলেন, আমি আপনাকে বলতে পারি, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক চলাকালে আঞ্চলিক ইস্যুতে কথা বলার সময় প্রায়ই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসে। এর বাইরে এই ইস্যুতে সুনির্দিষ্টভাবে বলার মতো কিছু আমার কাছে নেই।