২২ নভেম্বর: ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো

বিধবা বিবাহের বিজ্ঞাপন প্রকাশ (১৮৫৬)
এই দিনে “সংবাদ প্রভাকর” পত্রিকায় একটি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়, যাতে বিধবা বিবাহ করলে বরকে এক হাজার টাকা নগদ পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। এটি ব্রিটিশ ভারতে বিধবা বিবাহ প্রচলনের জন্য একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ছিল। রামমোহন রায় এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মতো সমাজ সংস্কারকদের উদ্যোগে এ ধরনের কার্যক্রম চলতে থাকে, যা নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে। এই ঘটনা সামাজিক আন্দোলনের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে।

  • লালবাগ দুর্গে সিপাহি বিদ্রোহ (১৮৫৭)
    ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঢাকার লালবাগ দুর্গে সংঘটিত হয়। সিপাহিরা ব্রিটিশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হন, যা বিদ্রোহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। যদিও ব্রিটিশরা এ বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হয়, তবুও এটি উপমহাদেশে স্বাধীনতার প্রাথমিক সংগ্রামের প্রতীক হয়ে আছে। লালবাগ দুর্গের এই ঘটনাটি বাংলাদেশের ইতিহাসেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রেখেছে।

  • জন এফ. কেনেডি হত্যা (১৯৬৩)
    যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি ডালাসে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন। লি হার্ভি অসওয়াল্ডকে এই হত্যার জন্য দায়ী করা হয়। ঘটনাটি শুধু মার্কিন রাজনীতিই নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। কেনেডির মৃত্যুকে ঘিরে নানা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং গবেষণা হয়েছে। এটি আধুনিক ইতিহাসের সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর এবং স্মরণীয় হত্যাকাণ্ডগুলোর একটি।

  • আঙ্গেলা মেরকেল চ্যান্সেলর হন (২০০৫)
    এই দিনে আঙ্গেলা মেরকেল জার্মানির প্রথম নারী চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে জার্মানি ইউরোপের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে অন্যতম শক্তিশালী দেশ হয়ে ওঠে। মেরকেলের চ্যান্সেলরশিপ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, ইউরোপীয় ঐক্য সংহতকরণ এবং শরণার্থী নীতির জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়। তার শাসনকাল আন্তর্জাতিক কূটনীতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

  • মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার (২০১৫)
    বাংলাদেশে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুজাহিদকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত গুরুতর অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হন। এই বিচার মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অপরাধীদের জবাবদিহিতার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে গণ্য হয় এবং এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও আলোচিত ঘটনা।