মুফতি হারুন ইজহার সাহেব আজকের সময়ে একজন সাহসী ও ন্যায়পরায়ণ নেতার প্রতীক। সমাজে যখন অন্যায় ও অবিচার প্রতিনিয়ত বাড়ছে, তখন তিনি সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে একটি অসাধারণ উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। মাওলানা আল আমীনের পরিবারকে নিয়ে তাঁর উদ্যোগ মানবতার প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতার জ্বলন্ত প্রমাণ।
মাওলানা আল আমীন ছিলেন একজন সৎ, ধার্মিক ও সমাজের কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ব্যক্তি।সি.টি.সি. শাখার গুপ্ত বাহিনী তাঁকে গুম করে হত্যা করেছে। তাঁর লাশ এখনো ফেরত দেয়া হয়নি। তাঁর পরিবার আজ অসহায়; ছোট ছোট সন্তানরা বাবার জন্য অপেক্ষা করছে, আর স্ত্রী শোকে ভেঙে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে মুফতি হারুন ইজহার সাহেব তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
গতকাল, দাওয়াতি সফরের ফাঁকে মুফতি সাহেব এবং কিশোরগঞ্জ ইমাম পরিষদের দায়িত্বশীল ওলামায়ে কেরাম মিলে এই পরিবারকে সরাসরি সহায়তার দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, এই পরিবারের জীবনযাত্রার সমস্ত প্রয়োজনীয়তা তিনি ও তাঁর সঙ্গীরা পূরণ করবেন। পাশাপাশি, মাওলানা আল আমীনের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আইনিভাবে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মুফতি হারুন ইজহার সাহেব শহীদ মাওলানা আল আমীনের পরিবার সম্পর্কে অত্যন্ত মানবিক এবং দৃঢ় অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই পরিবার এখন পুরোপুরি অসহায় অবস্থায় আছে। তাঁর ছোট্ট মেয়ে এখনো বাবার ফেরার অপেক্ষায়, আর স্ত্রী শোকে ভেঙে পড়েছেন। মুফতি সাহেব এই পরিবারের শিশুদের ভবিষ্যৎ এবং স্ত্রীর সার্বিক দায়িত্ব গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শহীদের মৃত্যু নেই; তাঁদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে অমূল্য, এবং এই পরিবারের অভিভাবক সরাসরি মহান আল্লাহতাআলা।
তিনি সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, সবাই যেন শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ায়। তাঁদের মানবিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সক্রিয় উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেছেন। মুফতি সাহেব জোর দিয়ে বলেছেন, এই অন্যায়ের বিচার আদায় করতে হবে, এবং এর জন্য শক্তিশালী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি সমাজের ইসলামি নেতৃবৃন্দ, মানবাধিকার কর্মী এবং সাধারণ জনগণকে একত্রিত হয়ে এ ধরনের গুম এবং হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। মুফতি হারুন ইজহার বলেছেন, “এই পরিবারের দায়িত্ব শুধু আমার নয়, আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষের। সবাই মিলে এই পরিবারকে সহায়তা করতে হবে এবং সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।”
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন এবং ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে কাজ করবেন।
এই উদ্যোগে শুধু মুফতি সাহেব নয়, সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষের ভূমিকা রয়েছে। আমাদের উচিত এই পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা করা এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সক্রিয় ভূমিকা রাখা। মুফতি সাহেব যেমন বলেন, “শহীদের মৃত্যু নেই; মহান আল্লাহ নিজেই তাঁদের অভিভাবক।” আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে সত্যের পথে যারা লড়াই করেন, আল্লাহ তাঁদের ত্যাগ ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লিখে দেন, আল্লাহর ওয়াদা সত্ত ইন্না ওয়াদাল্লাহি হাক্।